শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক:
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল ম্যাচ শেষে মাঠে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের ৫ ক্রিকেটারকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের শাস্তির আওতায় এনেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল-আইসিসি।
জাতীয় দল বা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে আগামী দুই বছর এ শাস্তি ভোগ করতে হবে এই পাঁচ ক্রিকেটারকে। ১টি সাসপেনশন পয়েন্ট মানেই একটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় বা এ দলের একটি ম্যাচ না খেলতে পারা।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ক্রিকেটের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ফাইনাল ম্যাচ শেষে বিবাদে জড়িয়ে আইসিসি কোড অব কন্ডাক্ট এর২.২১ ধারা ভঙ্গ করেছে ওই ৫ ক্রিকেটার।
শাস্তি পাওয়া ৫ ক্রিকেটারের মধ্যে বাংলাদেশের তিনজন হলেন- তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন ও রকিবুল হাসান। আর ভারতের দুজন হলেন- আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণয়।
গেল রবিবার পচেফস্ট্রুপে রকিবুল হাসান জয়সূচক রানটি নেয়ার পর উল্লাসে মাতে বাংলাদেশের যুবারা। এসময় মাঠে থাকা ভারতের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও সামান্য ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে। বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে টানাহেঁচড়ারও হয়।
তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলী। তবে তাতেও শেষ পর্যন্ত কোনও লাভ হয়।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন দেন আইসিসির ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাব্রয়। সে অনুযায়ী শাস্তি পান তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন ও রকিবুল হাসান।
অন্যদিকে আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণয়কেও আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ ধারা ভাঙায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিষ্ণয়ের ক্ষেত্রে ধারা ২.৫ ভাঙার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
শাস্তি হিসেবে তৌহিদ পেয়েছেন ১০টি সাসপেনশন পয়েন্ট, যা ৬টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। শামিমের সাসপেনশন পয়েন্ট ৮টি হলেও ডিমেরিট পয়েন্ট কিন্তু ৬টিই থাকছে। স্পিনার রকিবুল ৪টি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন, যেটা ৫ ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। এ পয়েন্টগুলো তিনজনেরই ক্যারিয়ারে আগামী দুই বছর থেকে যাবে।
অন্যদিকে ভারতের আকাশ ৮ সাসপেনশন ও ৬ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। বিষ্ণয় প্রথম অপরাধের জন্য ৫ সাসপেনশন ও ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। আর ২৩তম ওভারে অভিষেক দাস আউট হওয়ার পর বাজে ভাষা ব্যবহার করায় পেয়েছেন আরও দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট। শাস্তি মেনে নিয়েছেন ৫ ক্রিকেটারই।