বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
ভারতের হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে গত কয়েকদিনে তুমুল বৃষ্টি ও ভূমিধসে অন্তত ৬৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। উদ্ধারকারীরা দুযোর্গে নিখোঁজ হওয়া মানুষের সন্ধানে মঙ্গলবারও তল্লাশি চালায়। হিমাচলের মান্ডি, কুল্লু, সিমলা, হামিরপুরসহ কয়েকটি জায়গায় মঙ্গলবার হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়।
সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, হিমাচলের সিমলায় ধসের পর একটি মন্দির ভেঙে অন্ততপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিমলায় দুটি জায়গায় ভূমিধস। সব মিলিয়ে অন্তত ১৫ জন মারা গেছেন। মান্ডিতে আকস্মিক বন্যায় মারা গেছেন ১১ জন। সোলানেও মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পর বন্যা দেখা দেয়। সেখানেও সাতজন মারা গেছেন। মান্ডি জেলার সম্ভলে হড়পা বানে অন্তত ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
সিমলা-কালকা রেলপথের কিছু অংশ ভেসে গেছে। পাহাড়ি নদীগুলোর জল অনেকটাই বেড়ে গেছে। বিপাশা নদীর জল বিপৎসীমার কাছে পৌঁছে গেছে। প্রচুর সেতু ভেসে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধস হচ্ছে। ফলে অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। ভারতের দুই পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল ও উত্তরাখন্ডে ৭০০ রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিছু রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছে। কিছু রাস্তায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য সারাই করাও সম্ভব হচ্ছে না। কালকা-সিমলা রোডও নানা জায়গায় ধস নেমেছে। ফলে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিমলা, সোলান, মান্ডিসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। উত্তরাখন্ডেও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানেও ধস নেমেছে। নদীর জল বেড়েছে। রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানে গত শুক্রবার থেকে বন্যা, ধসে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।