শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
পাহাড়ের সুউচ্চ ছুঁড়া কিংবা কোন বিশাল কক্ষে জুড়ে আওয়াজ দিলে প্রতিধ্বনি সৃষ্টি হয়। আবার কোন মায়ের সন্তান সুদূরে কোন বিপদ আপদ কিংবা অসুস্থ হলে তার গর্ভধারনী মায়ের মানসপটে আগে প্রতিধ্বনি সৃষ্টি হয়। এটি সৃষ্টির এক অনন্য রহস্য। মানুষের জানা, শোনা, শ্রবন, অনুধাবন, দৃষ্টির নজর কিংবা জ্ঞানের ব্যাসার্ধের সীমান্ত প্রাচীর সীমাবদ্ধ। তবুও আমরা মানবজাতি মুক্তির অন্বেষনে বিবর হয়ে যাই। কিন্তু আমরা আমাদের সীমা অতিক্রম করতে পারিনি আর কোনদিন পারবো না। একজন শান্তিপ্রিয় মানবিক বৈশিষ্ট্য সম্পুর্ন মানবকে এই চিরসত্য মেনে নেয়া উচিত।
বিশ্বে প্রতিটি মহাদেশ ও দেশে বাংলাদেশী জননীর সন্তানের পদধুলিতে আঙ্গিনা মুখরিত আছে। এই পদচারণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় সফলতা। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অথনৈতিক নানাবিধ সমস্যা এবং সম্ভবনা প্রবাসে বসবাসরত বাঙ্গালী কমিউনিটিতে প্রভাব পড়ে। তারা সকল তাদের নিজ পরিবার,আত্বীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের যেমন খোঁজ খবর রাখে ঠিক তেমনি দেশের সামগ্রিক ঘটনার প্রতিফলনের ব্যাপারে হয়াকিবাল হয়। নিজ পরিবারের মতোই দেশকে বুকে আগলে রেখে মর্মাহত হয়। আবার দেশের কোন সফলতায় মিষ্টি বিরতন করে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। এই আচরণ প্রতিটি প্রবাসীর স্বজাত চেতনা।
সম্প্রতি একটি আত্মহত্যা বাংলাদেশে বসবাসরত জনগণকে যেমন প্রভাবিত করেছে ঠিক প্রবাসে বসবাসরত জননীর সন্তানদের মর্মাহত করেছে। এই ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু তিনি একজন বয়স্ক সচেতন মানুষ। যার অন্যতম পরিচয় হলো তিনি ঢাকাই চলচিত্রের নায়ক রিয়াজের শশুর। তিনি আবু মহসিন খান ও নিজের মাথায় নিজে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন। ফেইসবুক লাইভে এসে তার প্রচার করেন। তার ১৬ মিনিটের লাইভে একটি কথা বলেন-আমি যদি ফেসবুক লাইভে আসা ছাড়া এখানে মরে পড়ে থাকি, তাহলে আগামি এক সপ্তাহেও কেউ জানবে না যে আমি মরে গেছি।‘ কি নির্মম একাকীত্ব? যে ভিডিও চিত্র দেখে পুরো জাতিকে ভাবিয়ে দিয়েছে। সবার মনে প্রশ্ন-আমাদের নীতি-নৈতিকতা, সভ্যতা, ভাতৃত্ব, মানবতা, কৃষ্টি ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিস্ফোরণ ঘটেছে কি? আমাদের বাঙ্গালীহানার সেই একান্নবর্তী পরিবারের খ্যাতিটি বাংলার ঘরে অণুবিক্ষণযন্ত্র দিয়েও দেখা যায় না। একান্নবর্তী এই শব্দটি সাধারণত আগেকার দিনে একান্নবর্তী পরিবারের ক্ষেত্রে কথাটা প্রায় শোনা যেত। এই একান্ন মানে সংখ্যা ৫১ নয়। একান্নবর্তী পরিবারের ক্ষেত্রে এই কথাটির অর্থ হলো একান্ন=এক+অন্ন, এক অন্নে চালিত পরিবার।
আমাদের পরিবার গুলো কেন জানি নদ-নদীর দুকোলের চেয়ে বিপদ সীমায় আবদ্ধ হয়ে আছে। নদীর এক কোল ভাঙ্গলে অন্য কোল গড়ে উঠে। কিন্তু আমাদের পারিবারিক কলহ গুলো আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। পরিবার গুলোতে প্রেম, মায়া ও ভ্রতৃত্বের সুতিকাগার নেই। আর বাংলাদেশে পরিচালিত এক গবেষণায় পারিবারিক সমস্যা (৪১.২%), পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া (১১.৮%), বৈবাহিক সমস্যা (১১.৮%), ভালোবাসায় কষ্ট পাওয়া (১১.৮%), বিবাহবহির্ভূত গর্ভধারণ ও যৌন সম্পর্ক (১১.৮%), স্বামীর নির্যাতন (৫.৯%) এবং অর্থকষ্ট (৫.৯%) থেকে রেহাই পেতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
প্রবাসী গোলাম রব্বানী তার ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন-আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়। জীবনে বিভিন্ন কারণে হতাশা আসতেই পারে। তাতে আত্মহত্যা করার কোন যৌক্তিকতা নেই। আপনার যদি বেশি ধন-সম্পদ হয় তাহলে দান করুন। আশেপাশের অভাবগ্রস্থ মানুষদের দান করুন। মনে প্রশান্তি আসবে। আপনার যদি চাহিদা অনুযায়ী সম্পদ না থাকে, সমস্যা থাকে তাহলে ধৈর্য ধরুন। কেবল পরিবার-সন্তান, আত্মীয়-সমাজ এসব নিয়ে পড়ে থাকলে আপনি হতাশ হতেই পারেন। তাই, কেবল নাই নাই, দাও দাও করতে থাকলে কোন লাভ নেই। সুখ পাবেন না। বরং, অল্পতে তুষ্ট থাকুন, পরের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়ান, শান্তি পাবেন। সবসময়ই ভালো কোন কাজে ব্যস্ত রাখুন নিজেকে। টাকা টাকা করে নিজেকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবেন না। দুই দিনের দুনিয়ায় সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুন সর্বদা। মৃত্যুর পরও মানুষের দোয়া পাবেন।
শিশু সাহিত্যিক ও লেখক মহিদুর রহমান লিখেছেন-ফেইসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা!এটা কি শুধু নিছক একটা ঘটনার মাঝেই সীমাবদ্ধ? নাকি একটা লোকের জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণাই এর মূল কারণ? আমাদের সমাজ বা রাষ্ট্রের এখানে কি কোনো দায় নেই? শরৎ বাবু বেঁচে থাকলে হয়তো এর একটা যথার্থ প্রতিচিত্র আঁকতেন। লোকটার যে সুইসাইড নোট-ওখানে মোটামুটি একটা ব্যাখ্যা রয়েছে। এই ব্যাখ্যা জাতি হিসেবে আমাদের লজ্জিত করে। সন্তান বাবা-মাকে দেখবে না? খবর নেবে না-এটা কিসের ইঙ্গিত? মাতা-পিতাদের জন্য এটা নিশ্চয়ই কোনো ভালো আভাস নয়। একটু বৃহৎ পরিসরে ভাবলে যে প্রশ্নবোধক চিহ্ন সামনে আসে তা তো পানির মতো পরিষ্কার। আমরা কি প্রকৃত অর্থে সভ্য হতে পেরেছি? এতো প্রাচুর্য ! এতো শৌর্য- বীর্য। তারপরও কোথায় যেন মোটা দাগে একটা শূন্যতা! জীবনের চোরাবালিতে এভাবেই হয়তো তলিয়ে যাবে আরও অসংখ্য প্রাণ। বোধের পলিতে কবে যে উর্বর হবে আমাদের যাপিত জীবনের অলিগলি? সংস্কৃতিহীন ও মনুষ্যত্ববোধহীন একটি প্রজন্ম অনেকদিন ধরেই গড়ে উঠেছে। তার পোস্টে একজন কমেন্ট করেন-সামনের দিন গুলোতে কী অবস্থা হবে তাই ভাবছি! বিভিন্নজন লিখেন মানুষ হিসাবে আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। তিনি মারা যাবার আগে কিন্তু সর্তক করে গেছেন আমরা যেন সজাগ থকি। সামাজিক অবক্ষয়ের আভাস ছাড়া কিছুই না। আত্মহত্যা একধরণের রোগ। বর্তমান ইন্টারনেট কিছুটা দায়ী। পারিবারিক শিক্ষা, নৈতিক শিক্ষা, সামাজিক অবক্ষয়ই তার মুল কারন । দিনে দিনে সমাজ থেকে সভ্যতা বিলীন হয়ে যাচ্ছে ।
এদিকে বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রবিন উইলিয়ামস ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত একজন কৌতুক অভিনেতা। সারাটা জীবন মানুষকে হাসি-আনন্দের মধ্যে রেখেছেন। কিন্তু নিজে কি সুখী ছিলেন? জি না, তিনিও আত্মহত্যা করেছিলেন।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের কোলকাতার বিখ্যাত ফানি শো ‘মীরাক্বেল’-এর উপস্থাপক মীর আফসার। একবার দুইবার নয়, চার-চারবার আত্মহত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। ঠিক এভাবেই তিন বছর আগে বিশ্ববিখ্যাত মিউজিক ব্যান্ড লিংকিং এর গায়ক ও প্রধান গীতিকার চেস্টার বেনিংটন নিজেকে নিঃশেষ করে দেন। যাদের জৌলুস এবং চাকচিক্যপূর্ণ লাইফস্টাইল দেখে মনে মনে ঈর্ষান্বিত হন, নিজেকে ছোট মনে করেন, তাদের শেষ পরিণতি কি সেটি মানায়? তুমুল জনপ্রিয়তা জীবনকে উপভোগের সকল উপকরণ তাদের কাছে ছিলো। তবুও কেন তারা নিজের জীবন নিয়ে হতাশ ছিলেন?
বর্হিবিশ্বের দিকে তাকালে দেখাযায় স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চল, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো এবং জাপানে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি (লাখে পঁচিশের ওপরে)। গত ৫০ বছরে সারা পৃথিবীতে, মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আত্মহত্যার হার শতকরা ৬০ শতাংশ বেড়েছে। সারা পৃথিবীর যত মানুষ আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করে, তার মধ্যে ২.০৬ শতাংশ বাংলাদেশি। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রতি লাখে ১২৮.০৮ জন মানুষ আত্মহত্যা করে। প্রতিবছর এই সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশে কীটনাশক পান, ইঁদুর মারার বিষপান, ফাঁসি, ঘুম বা ব্যথার ওষুধ, হারপিক, স্যাভলন ইত্যাদি বিষাক্ত তরল পান করার মাধ্যমে মানুষ আত্মহত্যা করে থাকে। অল্পবয়সী মেয়েদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেশি দেখা যায়। জিম জোনস নামের এক ধর্মগুরুর নেতৃত্বে ১৯৭৮ সালের ১৮ নভেম্বরে জোনস টাউন নামে একটি কমিউনিটিতে ৯০৯ জন মার্কিন নাগরিক ম্যাস সুইসাইডের মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করেন। এবার আমার দ্বিতীয় জন্মভূমি ফ্রান্সে আত্নহত্যার ব্যাপারে কি পাওয়া যায় তা জানা প্রয়োজন? ফ্রান্সে প্রতি বছর গড়ে ৯ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। ফ্রান্সের এই সংখ্যাটা ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বড় আত্মহত্যার সংখ্যা। ফ্রান্সে আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গতকাল ৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে ফ্রান্স স্বাস্থ্য বিভাগ। এখানকার স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে প্রতিবছর ফ্রান্সে গড়ে ৯ হাজার মানুষের আত্মহত্যার ঘটনায় চিন্তিত ফ্রান্স সরকার। আত্মহত্যা রোধ করার জন্য ফ্রান্সের ইমানুয়েল ম্যাখো সরকার আত্মহত্যা রোধে জাতিয় ভাবে ৩১১৪ নাম্বারটি চালু করে।
অক্টোবর ২০২১ সালে চালু হয় নাম্বারটি। খবরে বলা হয় ৩১১৪ নাম্বারটি চালু হওয়ার ৪ মাসে ৩১ জানুয়ারী ২০২২ পর্যন্ত প্রায় ৩৪ হাজার কল আসে ও আত্মহত্যা রোধ চেষ্টাকারী ফরাসি সংস্থা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নাম্বারটি পুরো সপ্তাহে দিনে ২৪ ঘন্টায়ই খোলা থাকে। ফ্রান্সের ইমানুয়েল ম্যাখো সরকার ফ্রান্সে আত্মহত্যা রোধে নানাবিদ পদক্ষেপ নিয়েছেন। ৩১১৪ নাম্বারটি চালু করা তারই অংশ।
অন্যদিকে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে ইতিমধ্যে সুইজারল্যান্ড বেদনাহীন আত্মহত্যার যন্ত্রের বৈধতা দিয়েছে। এমনই এক যন্ত্রের আইনি স্বীকৃতি দিল সুইজারল্যান্ড। তারা কফিন আকৃতির যন্ত্রে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমিয়ে এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে মৃত্যু ডেকে আনার ব্যবস্থা করেছে। আর যন্ত্রের নাম রাখা হয়েছে ‘সারকো‘। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এগজিট ইন্টারন্যাশনাল যন্ত্রটি তৈরি করেছে।
সর্বোপরি মানব ইতিহাসের কোন ধর্মগ্রন্থ বা কোন দর্শন ও সুস্থ সমাজ এবং রাষ্ট্র আত্নহত্যাকে সমর্থন করে না। বরং আত্নহত্যাকে মহাপাপ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো সুখে ও শান্তিতে থাকার পরিবেশ তৈরি করা। স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন জাগে এই সুখ ও শান্তি কি দিয়ে আসবে? পারিবারিক বন্ধুত্বময় বন্ধনে অটুট ও শান্তিময় হলে আত্নহত্যার পথ অধিকাংশই নিরুধ হয়ে যায়। যেমন বিবাহ, সন্তান ও ভালোবাসাপূর্ণ পারিবারিক, সামাজিক সম্পর্ক ও আত্মনিয়ন্ত্রণ হলে ভালো থাকা যায়। ধর্মবিশ্বাস ও ধর্মচর্চা, পেশায় নিয়োজিত ও ইতিবাচক চিন্তা করা। তাছাড়া রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিয়ে সমাজ ও জাতিকে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত করতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও বিনোদনের ব্যবস্থা বৃদ্ধি করতে হবে। মানুষকে লড়াই করে বেঁচে থাকার স্বার্থকতার স্বাদ বুঝাতে হবে। জীবনকে যান্ত্রিকতার বাহিরে নিয়ে স্বাভাবিক জীবন জাপন ও মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকাটাই যে প্রধান লক্ষ্য সেটি অনুধাবন মননে তৈরি করে দিতে হবে।
পৃথিবীর বিখ্যাত পবিত্র আল-কুরআনের আলোকে বড় সুন্দর করে উত্তরটি দিয়েছেন বিখ্যাত ইমাম হাফিজ ইবনুল কায়্যিম (রা:)। তিনি বলেন, “প্রকৃতপক্ষে অন্তরে রয়েছে এক অভাববোধ, যা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরি করা ব্যতীত দূর হয় না। অন্তরে রয়েছে এক বিষণ্ণতা, যা আল্লাহকে জানা আর তাঁর প্রতি সৎ থাকা ছাড়া বিদূরিত হয় না। অন্তরে আরোও রয়েছে একটি বিশেষ শূন্যতা, যা তাঁকে ভালবাসা, তাওবাহ করে তাঁর দিকে ফিরে যাওয়া এবং সবসময় তাঁকে স্মরণ করা ছাড়া পূরণ হয় না। কোন ব্যক্তিকে যদি পুরো দুনিয়া এবং তার সবকিছুই প্রদান করা হয়, তবুও এটি তার শূন্যতা পূরণ করতে পারবে না।‘‘ তাই মানব জাতির এই দুর অবস্থা ও সামাজিক অবক্ষয় থেকে নিজ নিজ জাতি এবং জনগণকে রক্ষার জন্য জ্ঞানীদের ভাবতে হবে।
রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিয়ে জাতির মুক্তির সঠিক পথ উন্মোচন করতে হবে। কারণ মৃত্যুর মাধ্যমে কোন সমাধান কিংবা মানবজাতির কোন সফলতা নেই। তাই একত্রে প্রতিটি প্রাণে ভালোবাসা ও মানবতার মহিমা জেগে সুন্দর এবং বাসযোগ্য বসুন্ধরা গড়ে উঠার প্রত্যাশা রইল।
লেখক: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক-প্যারিস।