শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’: ১৫ সেনা কর্মকর্তা ‘হেফাজতে’ ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার বর্ণনা দিলেন শহিদুল আলম এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টা জাতীয় পার্টির সমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ‘শিশুদের নোবেল’ পুরস্কারের মনোনয়ন পেলেন কিশোরগঞ্জের মাদ্রাসাছাত্র মাহবুব শান্তিতে নোবেল জিতে ট্রাম্পকে ফোন মাচাদোর, দেখালেন ‘ভক্তি’ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, সব সংশয় কেটে গেছে: প্রেস সচিব চীনা পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা ট্রাম্পের অবশেষে দেশে ফিরলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন: দুর্গাপূজার শুভেচ্ছায় তারেক রহমান

গ্লোব বায়োটেকের বঙ্গভ্যাক্স টিকার মার্কিন পেটেন্ট অর্জন

ডেস্ক রিপোর্ট | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: / ৪৮ পাঠক
প্রকাশকাল রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক আবিষ্কৃত কোভিড-১৯ টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট (মেধাস্বত্ব) পেয়েছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাংলাদেশি কোনো টিকা বা ওষুধ উদ্ভাবন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পেটেন্ট স্বীকৃতি পেল। ফলে ওষুধশিল্পে নতুন অধ্যায় রচিত হলো।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

গ্লোব বায়োটেক জানায়, করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বব্যাপী মানুষ যখন দিশেহারা, তখন তারা জাতীয় প্রয়োজনে গবেষণা শুরু করে। বিজ্ঞানী কাকন নাগ ও নাজনীন সুলতানার তত্ত্বাবধানে তৈরি হয় কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট, ওষুধ এবং টিকা। এ গবেষণার ফলেই আবিষ্কৃত হয় বিশ্বের প্রথম এক ডোজের কার্যকর এমআরএনএ টিকা বঙ্গভ্যাক্স।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০২০ সালে টিকাটির সম্পূর্ণ কোডিং সিকুয়েন্স প্রকাশিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ডেটাবেসে। পরে এর গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিকেল জার্নাল ভ্যাকসিন এবং সায়েন্টিফিক রিপোর্টস-এ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও একই বছরে এটিকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। বানরের ওপর পরিচালিত ট্রায়ালে বঙ্গভ্যাক্স নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি ছিল প্রাণীর ওপর পরিচালিত প্রথম ভ্যাকসিন ট্রায়াল।

গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৫ সালে পথচলা শুরু করে গ্লোব বায়োটেক। ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস, রক্তস্বল্পতা, উচ্চরক্তচাপ, অটোইমিউন ডিজিজসহ দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসায় বায়োলজিক্স ও নতুন প্রজন্মের ওষুধ উদ্ভাবনের লক্ষ্যেই গড়ে ওঠে গবেষণাগারটি।

বঙ্গভ্যাক্স এক ডোজেই করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর বলে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে। টিকাটি প্রস্তুতে ব্যবহার করা হয়েছে ন্যানোটেকনোলজি-ভিত্তিক নিজস্ব মৌলিক প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভবিষ্যতে শুধু এমআরএনএ নয়, বরং ডিএনএ, প্রোটিন সাবইউনিট, নিষ্ক্রিয় ভাইরাস বা রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাসভিত্তিক টিকাও তৈরি করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের আধুনিক ওষুধ তৈরিতেও এর প্রয়োগ ঘটানো যাবে।

গ্লোব বায়োটেক জানায়, পেটেন্টের এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। দেশীয়ভাবে টিকা উৎপাদন হলে কম খরচে জনগণকে সাশ্রয়ী ও কার্যকর ভ্যাকসিন সরবরাহ সম্ভব হবে। একই সঙ্গে বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।


এই ক্যাটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর