বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন

জাতির পিতার ০৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের সকল নির্দেশনা-ই বিদ্যমান ছিল: বিয়াদে বাংলা স্কুলের আলোচনায় আলোচকবৃন্দ

বর্তমানকন্ঠ ডটকম, সৌদি আরব।   / ৩৩ পাঠক
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ০৭ ই মার্চের ভাষণের উপর এক আলোচনাসভা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বাংলাদেশ জাতীয় কারিকুলাম), রিয়াদ এর বোর্ড অব ডাইরেক্টসের সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তাক আহম্মদের সভাপতিত্বে রাত আটটায় ‘জুম’ লিঙ্কের মাধ্যমে আনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইং এর কাউন্সেলর মোঃ আসাদুজ্জমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের ফাইন্যান্স ডাইরেক্টর মুহাম্মদ আবদুল হাকিম, কো- ফাইন্যান্স ডাইরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার গোফরান, কালচারাল ডাইরেক্টর সিরাজুল সফিকুল হক প্রমুখ। সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক খাদেমুল ইসলাম ও গণিত বিভাগের প্রভাষক শামসুজ্জোহা সম্রাটের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরান থেকে তিলাওয়াত করেন বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী হুযাইফা আহম্মদ। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী সোহা সিদ্দিকী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসনিয়া মাহবুব নওশীন। শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা আক্তার জাহান লাকি ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সাবেক বিভাগীয় প্রধান মুহাম্মদ দিলওয়ার হুসাইন।

স্বাগত বক্তব্যে অধ্যক্ষ মোঃ আফজাল হোসেন ০৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, এই ভাষণ আজ বিশ্ব সম্পদে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এটিকে নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। এই ভাষণকে আর কেউ কিংবা কোন অপশক্তি ইচ্ছা করলেও পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সফিকুল সিরাজুল হক বলেন, এই দিনটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক পটপরিবর্তনের দিন। এই ভাষণ সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল।

ইঞ্জিনিয়ার গোফরান বলেন, বঙ্গবন্ধু সেইদিন তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে হানাদারদের কঠোরভাবে হুসিয়ার করার মাধ্যমে ক্ষান্ত হননি. একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের সকল দিক নির্দেশনা জাতির উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করেন। তার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে দেশের হাল ধরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নত বিশ্বের কাতারে। রূপকল্প ৪১ এ তাঁর নেতৃত্বে আমরা অবশ্যই উন্নত বিশ্বের কাতারে উন্নীত হতে সক্ষম হবো ইনশাহ আল্লাহ।

মুহাম্মদ আবদুল হাকিম বলেন, ১৯৭১ সালের ০৭ ই মার্চ বাঙালি জাতির জন্য এক ঐতিসিক দিন। এটি আমাদের জন্য পালাবদলের এক অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এই ভাষণ বাঙালি জাতির এক প্রামাণ্য দলিল হিসেবেও ইউনোস্কোতেও স্থান লাভ করেছে।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ০৭ মার্চ এ জাতির পিতার ভাষণ এমনভাবে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল, যার কারণে সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে দেশকে হানাদার মুক্ত করে স্বাধীন করতে ঝাপিয়ে পড়তে বাধ্য হয়েছিল। এমন অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করা একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষেই সম্ভব ছিল। আর সেই অনুপ্রেরণা নিয়েই আমরা মাত্র নয় মাসে আমাদের দেশকে হানাদার মুক্ত করে স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলাম।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ মোস্তাক আহম্মদ বলেন, ০৭ ই মার্চ জাতির পিতার বজ্রকণ্ঠে একটা আহ্বানের মাধ্যমে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশ মুক্তির আন্দোলনে সমবেত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। দুনিয়াতে বঙ্গবন্ধুর মত এমন কোন সূর্য সন্তান জন্ম হয় নি; যাঁর একটা আহ্বানে দেশের স্বাধীনতার জন্য সবাই যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল; এমন সূর্য সন্তান পৃথিবীতে আর জন্ম হবে কি না সন্দেহ আছে। তিনি উনিশ মিনিটের জাদুকরী ভাষণে সেইদিন জাতির পিতা বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, যা আজ বিশ্বের প্রামাণ্য দলিল। ০৭ ই মার্চ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় বরং দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। তার সেই ভাষণ আজো আমাদের চেতনাকে শানিত করে। এই ভাষণের মূলমন্ত্র ধারণ করে অস্ত্রে সুসজ্জিক একটি সামরিক বাহিনীকে পদানত করে বীর বাঙালি মাত্র নয় মাসে আমাদেরকে বিশে^র মানচিত্রে স্বাধীন জাতি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়।

পরে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষক নেসার উদ্দিন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *