শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’: ১৫ সেনা কর্মকর্তা ‘হেফাজতে’ ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার বর্ণনা দিলেন শহিদুল আলম এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টা জাতীয় পার্টির সমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ‘শিশুদের নোবেল’ পুরস্কারের মনোনয়ন পেলেন কিশোরগঞ্জের মাদ্রাসাছাত্র মাহবুব শান্তিতে নোবেল জিতে ট্রাম্পকে ফোন মাচাদোর, দেখালেন ‘ভক্তি’ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, সব সংশয় কেটে গেছে: প্রেস সচিব চীনা পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা ট্রাম্পের অবশেষে দেশে ফিরলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন: দুর্গাপূজার শুভেচ্ছায় তারেক রহমান

নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনগণ আশা পূরণের সুযোগ পাবে: মির্জা ফখরুল

ডেস্ক রিপোর্ট | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: / ১৯৪ পাঠক
প্রকাশকাল রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে একটা জাতীয় নির্বাচন হবে, এর মধ্য দিয়ে জনগণ আশা পূরণের সুযোগ পাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে অনুপ্রাণিত ও আশ্বস্ত জানিয়ে তিনি বলেন, বৈঠকে দু’জনে কতগুলো বিষয়ে একমত হয়েছেন। নিঃসন্দেহে আমাদের সবার কাছে এটি অত্যন্ত আশার বাণী। আমরা আশা করছি, ফেব্রুয়ারিতে দেশে নির্বাচন হবে।

শনিবার (২১ জুন) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ সংগঠন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১০ মাসে বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তাতে আমরা একটু সন্দিহান হয়ে পড়েছিলাম যে শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াবে? আমরা অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হয়েছি, আশ্বস্ত হয়েছি। যখন আমরা দেখলাম এ আন্দোলনের প্রধান দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটা সভা করলেন। সভায় তারা কতগুলো বিষয়ে একমত হলেন। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের সবার কাছে আশা সামনে এনে দিয়েছে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছেন। নিঃসন্দেহে তারাই ইতোমধ্যে অনেক কাজ করেছেন এবং ভালো কাজ করছেন, আমাদেরকে পথ দেখাচ্ছেন। আমরা আশা করব, যেসব রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছিলাম, সবাই মিলে তাদেরকে সহযোগিতা করব।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের সংগ্রাম, জনগণের সংগ্রাম বলতে পারি; প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে। জনগণকে আমরা স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হয়েছি, বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করব। জনগণের কাছে আমাদের এটাই ছিল প্রতিশ্রুতি। এই প্রতিশ্রুতি পালনে আমরা কাজ করে যাব। রাষ্ট্র কাঠামোতে জনগণের স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব নয়, তাই আমরা ৩১ দফা দিয়েছি সবার সঙ্গে আলোচনা ভিত্তিতে। যাতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসা যায়।

শুধু কথা বা আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের এই বিশাল কাজ সম্ভব হয় না বলেও মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন সংস্কার কাজ এগিয়ে চলেছে, কতগুলো বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, কতগুলো বিষয়ে একমত হচ্ছে না। যতগুলো বিষয়ে আমরা একমত হব সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করব। আর যেগুলোতে একমত হওয়া যাচ্ছে না, সেগুলো নিয়ে নির্বাচনের পরে আলোচনা করব। সেগুলোতে আমরা একমত হব।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদনের জমার কথা উল্লেখ করে ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রত্যাশা তাদের প্রতি অনেক বেশি, আমরা প্রত্যাশা করি এই তরুণেরা, যারা বিগত আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। যাদের সহকর্মীরা, কমরেডরা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি তাদের নেতৃত্ব আমাদেরকে লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, ডেএসডির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ উদ্দিন স্বপন, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।


এই ক্যাটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর